Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

সিটিজেন চার্টার

 

1.   বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, রাজশাহী  হতে প্রতিদিন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা থেকে দৈনিক শ্রম পরিস্থিতি সংগ্রহ করে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের দপ্তর এবং শ্রম পরিদপ্তর, ঢাকায় অবহিত করা হয়। এছাড়া শিল্পে শামিত-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে মালিক ও শ্রমিকগণের মাঝে বিভিন্ন শিল্প বিরোধ নিস্পত্তি করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।

2.   শ্রমিক এবং শ্রমিকের, মালিক এবং মালিকের ও মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে শ্রমিকদের ইউনিয়ন এবং মালিকদের সমিতির ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়।  যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নেই সে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় পার্টিসিপেশন কমিটি গঠন করে শ্রমিক এবং মালিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

3.  বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের সমন্বয়ে মহান মে দিবস পালন করা হয়। উক্ত মে দিবসের  র‌্যালীতে সকল শ্রমিক কর্মচারীকে গেঞ্জি, টুপি ও নাস্তা সরবরাহ করা হয়।

4.   বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, গ্রেটার রোড, রাজশাহী  ৬টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র রহিয়াছে। উক্ত শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র বৎসরে  একাধিক বার শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সকল সদস্যগণকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং শ্রমিক পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।

শ্রম অধিদপ্তর স্থাপিত হয়েছিল বৃটিশ-ভারত বিধির মাধ্যমে । প্রাথমিকভাবে এটি ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ দেখবাল করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বলা হত ভারতীয় অভিবাসী শ্রম দপ্তর। শ্রম শক্তি আদিবাসী সেগমেন্ট ক্রমশ বিস্তার লাভ করে সেই সাথে ঔপনিবেশিক শাসকদের ভারতীয় অভিবাসীয় শ্রমিক কল্যাণ দৃষ্টিপাত তাদের সীমিত সুযোগ বহির্ভূত পর্যবেক্ষণে বাধ্য ছিল এবং একইভাবে সব শ্রমিকের কল্যাণে ব্যবস্থা নেওয়া ছিল। সেই অনুযায়ী ১৯৩১ সালে ভারতীয় অভিবাসী শ্রম দপ্তর জেনারেল শ্রম দপ্তরে রূপান্তরিত হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িতব ছিল দেশীয় শ্রমিক ও ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিকের কল্যাণ নিশ্চিত করা। প্রাথমিকভাবে দপ্তর প্রধানের নাম দেয়া হয়েছিল শ্রম কমিশনার। কিন্তু ১৯৫৮ সালে সরকারী আদেশের মাধ্যমে মেমো নং- ২৩০/এস-১১১/১এ-৮(২)/৬৯ তারিখের ০৫/০৩/৭০ এর নাম পরিবর্তন করে শ্রম পরিচালক করা হয় । শ্রম পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠর শুরু থেকেই কার্যকরী শ্রমিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক যৌথ দরকষাকষি, মধ্যস্থতা এবং শিল্প ক্ষেত্রে শ্রম বিরোধ নিষ্পত্তিতে দ্রুত ও কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।